ইউসুফ জিয়া কাভাকচি

তুর্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

ইউসুফ জিয়া কাভাকচি (জন্ম: ২২ জুন ১৯৩৮) একজন তুর্কি-মার্কিন ইসলামি ধর্মগুরু এবং তুর্কি রাজনীতিবিদ মার্ভে কাভাকচির পিতা। তিনি উত্তর টেক্সাসে ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত প্রভাবশালী অবদান রেখেছেন।[১]

ইউসুফ জিয়া কাভাকচি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1938-06-22) ২২ জুন ১৯৩৮ (বয়স ৮৬)
হেনদেক, সাকারইয়া প্রদেশ, তুরস্ক
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাতুর্কি
অঞ্চলতুরস্ক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
প্রধান আগ্রহফিকহ (ইসলামি আইনশাস্ত্র)
শিক্ষাপিএইচডি
ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়
কাজঅধ্যাপক
মুসলিম নেতা
যার দ্বারা প্রভাবিত

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন

ইমাম ইউসুফ ১৯৩৮ সালে হেনডেকের সাকারিয়ায়[২] জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার জর্জিয়া থেকে দেশান্তরিত হয়েছিলেন। ছোটবেলায় তিনি তুর্কি ভাষা জানতেন না, তবে জর্জিয় ভাষায় কথা বলতেন। ৮ থেকে ৯ বছর বয়সে তিনি তুর্কি ভাষা শেখেন।[৩] অল্প বয়সেই তিনি কুরআন মুখস্থ করেন, তাজবীদ, কুরআন, আরবি, তাফসির, হাদীস, ফিকহ এবং অন্যান্য ইসলামিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলি অধ্যয়ন করেন এবং হাসিরলার কুরআন কোর্স থেকে স্নাতক লাভ করেন। পরীক্ষা দিয়ে সফল হওয়ার পর, তিনি ইস্তাম্বুলে ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মুফতি হিসেবে কাজ করেন। ইউসুফ কাভাকচি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও ইস্তাম্বুল ইউকসেক ইসলাম ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক অর্জন করেন এবং ১৯৬৭ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি অধ্যাপক নিযুক্ত হন।[২] তিনি এরজুরামে অবস্থিত আতাতুর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন ছিলেন।[৪] তিনিমুহম্মদ হামিদুল্লাহর ছাত্র ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র

কাভাকচি তুরস্ক ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান কারণ তার মেয়েকে সেখানে নেকাব পরে পড়াশোনা করতে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি ফিলাডেলফিয়া এবং কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাবাসিক অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।[২] ১৯৮৮ সালে তিনি টেক্সাস গমন করেন এবং উত্তর টেক্সাসের ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের আবাসিক পন্ডিত ও ইমাম নিযুক্ত হন। তিনি টেক্সাসের রিচার্ডসনে আইএএনটি কুরআনিক একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক এবং ডালাসে সুফা ইসলামিক সেমিনারির প্রতিষ্ঠাতা ডিন।[৫]

তিনি ১৩ অক্টোবর ২০০৭'এ খ্রিস্টান নেতাদের উদ্দেশ্যে লেখা একটি খোলা চিঠি, 'এ কমন ওয়ার্ড বিটুইন আস এন্ড ইউ' এর ১৩৮ জন স্বাক্ষরকারীদের একজন ছিলেন।[৬] ২০০৯ সালে তিনি ১০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমদের কাতারে তালিকাভুক্ত হন।[৫]

তুরস্কে ফিরে আসা

কাভাকচি শেষ পর্যন্ত তুরস্কে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত অনুষদ সদস্য এবং ইস্তাম্বুল ও মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ধর্মতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। অসংখ্য তুর্কি বইয়ের পাশাপাশি তিনি ইসলামী আইনের উপর ইংরেজি বইও প্রকাশ করেছেন।[২]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতাবিশেষ:অনুসন্ধানসামাজিক সমস্যালামিনে ইয়ামালকোপা আমেরিকা২০২৪ কোপা আমেরিকাউয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপউয়েফা ইউরো ২০২৪আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)মুকেশ আম্বানিঅপারেশন সার্চলাইটছয় দফা আন্দোলনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বাংলাদেশআশুরাযুক্তফ্রন্টবাংলা ভাষা আন্দোলনব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলশেখ মুজিবুর রহমানস্পেন জাতীয় ফুটবল দলকাজী নজরুল ইসলামআনহেল দি মারিয়ালিওনেল মেসিলাহোর প্রস্তাববাংলাদেশের সংবিধানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাফিফা বিশ্বকাপফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকারাজাকারকারবালার যুদ্ধমিয়া খলিফাবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহকিম কার্দাশিয়ানভূমি পরিমাপ