আর্থার মেইলি
আর্থার আলফ্রেড মেইলি (ইংরেজি: Arthur Mailey; জন্ম: ৩ জানুয়ারি, ১৮৮৬ - মৃত্যু: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৭) নিউ সাউথ ওয়েলসের জেটল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২০ থেকে ১৯২৬ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২১ টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটে তার।
![]() আনুমানিক ১৯১০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আর্থার মেইলি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আর্থার আলফ্রেড মেইলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৭ | (বয়স ৮১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ-ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১০৮) | ১৭ ডিসেম্বর ১৯২০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯২৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১২-১৯৩০ | নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেট দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ সেপ্টম্বর, ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯১২ থেকে ১৯৩০ সময়কালে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আর্থার মেইলি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ডানহাতে লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৭ ডিসেম্বর, ১৯২০ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। একই দলের বিপক্ষে ১৪ আগস্ট, ১৯২৬ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯৯টি টেস্ট উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯২০-২১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজেই পেয়েছিলেন ৩৬ উইকেট। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯/১২১ নিয়ে নিজস্ব সেরা বোলিং নৈপুণ্য তুলে ধরেন। তার এ সাফল্যটি অদ্যাবধি যে-কোন অস্ট্রেলীয় বোলারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান হিসেবে টিকে রয়েছে।[১]
১৯২৪-২৫ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসে। সিডনিতে দশম উইকেট জুটিতে সফরকারী দলের বিপক্ষে জনি টেলরের সাথে রেকর্ডসংখ্যক রান তুলেন। ১১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে ফিল হিউজ ও অ্যাস্টন অ্যাগার এ রেকর্ড ভাঙ্গার পূর্ব-পর্যন্ত অক্ষত ছিল।[২]
১৯২১ সালের অ্যাশেজ সফরে চেল্টেনহামে অনুষ্ঠিত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অবিস্মরণীয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রানে সকল উইকেট লাভ করেন আর্থার মেইলি।
ঐ সাফল্যের বিপরীতে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাপেক্ষা ব্যয়বহুল বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করানোর অধিকারী। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে মেলবোর্নে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রতিপক্ষ ভিক্টোরিয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বাধিক ১১০৭ রানের রেকর্ড গড়ে। মেইলি আট-বলে গড়া ৬৪ ওভার বোলিং করে কোন মেইডেন লাভ করেননি। ইনিংসে তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৪/৩৬২।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
শুরুরদিকে তিনি শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। পরবর্তীকালে প্রতিভাবান লেখক ও শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। ১৯২০ থেকে ১৯৫৩ সময়কালে তার সময়কালের ক্রিকেটারদের ঘিরে একগুচ্ছ কার্টুনের পুস্তিকা প্রকাশ করেন।[৪] ১৯৫৮ সালে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'টেন ফর ৬৬ এন্ড অল দ্যাট' প্রকাশ করেন।
৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে ৮১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের কিরাউই এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আর্থার মেইলি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে আর্থার মেইলি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Mailey, Alfred Arthur (Australian Dictionary of Biography)
- ইউটিউবে Brief film of Mailey bowling (5:47 to 6:07)