আব্দুল মতিন খসরু

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদ সদস্য
(আবদুল মতিন খসরু থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আবদুল মতিন খসরু (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০—১৪ এপ্রিল ২০২১) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী যিনি কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[১]

আবদুল মতিন খসরু
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৫ জানুয়ারি ১৯৯৭ – ১৫ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীমির্জা গোলাম হাফিজ
উত্তরসূরীমওদুদ আহমেদ
কুমিল্লা-৫ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫
পূর্বসূরীমোহাম্মদ ইউনুস
উত্তরসূরীমজিবর রহমান
কাজের মেয়াদ
১২ জুন ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীমজিবর রহমান
উত্তরসূরীমোহাম্মদ ইউনুস
কাজের মেয়াদ
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ – ১৪ এপ্রিল ২০২১
পূর্বসূরীমোহাম্মদ ইউনুস
উত্তরসূরীআবুল হাশেম খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৫০-০২-১২)১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০
ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা
মৃত্যু১৪ এপ্রিল ২০২১(2021-04-14) (বয়স ৭১)
সিএমএইচ,ঢাকা
মৃত্যুর কারণকোভিড-১৯
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানএক ছেলে ও এক মেয়ে
পেশারাজনীতি, আইনজীবী

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

আব্দুল মতিন খসরু ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ সালে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম, তারা চার ভাই তিন বোন৷ তার এক ছেলে এক মেয়ে।[২]

কর্মজীবন

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হয়ে পরে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তার উদ্যোগে সংবিধানের প্রথম পকেট সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

মতিন খসরু ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কুমিল্লা জেলার অবিভক্ত বুড়িচং থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন।[১]

রাজনৈতিক জীবন

শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় ২৩ জুন ১৯৯৬ হতে ১৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পরে ১৫ জানুয়ারি ১৯৯৭ সাল থেকে ১৫ জুলাই ২০০১ সাল পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল মতিন খসরু। আইনমন্ত্রী থাকাকালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের থানা ও জেলার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম,[৩] ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম,[৪] ২০০৮ সালের নবম,[৫] ২০১৪ সালের দশম[৬] ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মননয়নে কুমিল্লা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭]

১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মননয়নে কুমিল্লা-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহ করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

মৃত্যু

আব্দুল মতিন খসরু ১৪ এপ্রিল ২০২১ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৮]

তথ্যসূত্র

পূর্বসূরী:
সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ
বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
১৪ জানুয়ারি ১৯৯৭ – ১৫ জুলাই ২০০১
উত্তরসূরী:
সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ
🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী