আফগান ওয়্যারলেস

আফগান ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কোম্পানি, সাধারণভাবে বলা হয় আফগান ওয়্যারলেস অথবা এডবলুসিসি হল আফগানিস্তানের প্রথম ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন্স কোম্পানি। আফগান ওয়্যারলেস ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা প্রধানত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলভিত্তিক একটা প্রতিষ্ঠান, ঐ অঞ্চলেই যাদের বড় বড় কার্যালয় অবস্থিত।[৪] এই কোম্পানি টেলিফোন সিস্টেমস ইন্টারন্যাশনালের ভর্তুকিতে কাজকর্ম চালায়, যে প্রতিষ্ঠান হল বায়ত গোষ্ঠী এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত।[১][৫] আফগান ওয়্যারলেস ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে আফগানিস্তানে প্রথম ফোর-জি এলটিই (টেলিকমিউনিকেশন) নেটওয়র্ক পরিসেবা চালু করে, যে পরিসেবায় এই কোম্পানি এদেশে সবচেয়ে বড় বেসরকারি নিয়োগকারী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।[৩] বর্তমানে এই কোম্পানির প্রায় পঞ্চাশ লক্ষের মতো গ্রাহক রয়েছে[৩] এবং এরা আফগানিস্তানের সব প্রদেশেই পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছে।[৬]

আফগান ওয়্যারলেস
শিল্পটেলিকমিউনিকেশন্স
প্রতিষ্ঠাকালটেমপ্লেট:শুরুর তারিখ বয়স[১]
প্রতিষ্ঠাতাগণএহসান বায়ত, স্টুয়ার্ট বেনথাম, লর্ড মাইকেল সিসিল
সদরদপ্তর,
প্রধান ব্যক্তি
এহসান বায়ত (সভাপতি)
কর্মীসংখ্যা
৮,০০০ (২০১৭)[৩]
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানটেলিফোন সিস্টেমস ইন্টারন্যাশনাল (টিএসআই)
ওয়েবসাইটafghan-wireless.com উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা ও অনুমতিপ্রাপ্তি

১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে আফগান-মার্কিন টেলিকমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠান এহসান বায়ত আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কাছ থেকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের, যৌথ উদ্যোগে কোম্পানি খোলার জন্যে আলাদাভাবে অনুমতি লাভ করে,[১] যাতে ২০ শতাংশ মালিকানা দেওয়া হয়।[১][৭] এই চুক্তির জন্যে বিনিয়োগকারীদের দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, এবং সুইডেন থেকে শলাপরামর্শ করা হয়েছিল।[৮] আফগান ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন্স কোম্পানি, অথবা এডবলুসিসি, প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল টেলিফোন সিস্টেমস ইন্টারন্যাশনালের ভর্তুকিযুক্ত সংস্থা হিসেবে[৫] এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল ব্রিটিশ শিল্পপতিদ্বয় স্টুয়ার্ট বেন্থাম এবং লর্ড মাইকেল সিসিল।[১][৯] ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে তালিবানি অনুমতিপ্রাপ্ত আফগান ওয়্যারলেস আফগানিস্তানে একটা ১৫ বছরের একচেটিয়া মোবাইল পরিসেবার বরাত পায়[১] এবং এক বছরের মধ্যেই আফগান ওয়্যারলেস আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক কলিংয়ের কোড পুনরায় দিতে সমর্থ হয়েছিল।[১] ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে[৯] এই কোম্পানি দেশের পুরোনো হাতে চালানো টেলিফোন সুইচবোর্ড, যেটা যুগ যুগ ধরে ভরসা ছিল তার বদলে কাবুল এবং কান্দাহার শহরে ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তৈরি করেছে।[১][৯]

যদিও ২০০১ খ্রিস্টাব্দে একটা মার্কিন আক্রমণে তালিবানরা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল,[১০] তা সত্ত্বেও আফগান ওয়্যারলেস প্রথম অনুমোদিত কোম্পানি হিসেবে আফগানিস্তানে জিএসএম ওয়্যারলেস পরিসেবা সরবরাহ করেছিল।[১১] সমস্ত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা অতিক্রম করে আফগান ওয়্যারলেস ওয়র্ল্ডকম, টেকোর ওয়্যারলেস সিস্টেমস এবং এয়ারনেট কমিউনিকেশন্স কর্পোরেশনসহ মার্কিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টেলিকম প্রযুক্তি এদেশে আমদানি করেছিল।[১১] আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী নেতা হামিদ কারজাই ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল সরকারিভাবে নিউ ইয়র্ক সিটিতে রাষ্ট্রসংঘে আফগান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে টেলিকলের মারফত মোবাইল ফোনে প্রথম কথা বলেন। যখন সাধারণ প্রিপেইড ব্যবস্থায় জনপরিসেবা চলত, তখন টেলিফোন বুথগুলো মোবাইল ফোন দিয়ে সেই অসামর্থ্য সামলে নিত।[১১] ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের জুনে আফগান ওয়্যারলেস তাদের জিএসএম মোবাইল নেটওয়র্ক উন্নত করার জন্যে নিউজিল্যান্ডের আর্জেন্ট নেটওয়র্ক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। ওই বছরেই আর্জেন্ট নেটওয়ার্ক মোবাইল নেটওয়ার্কের বিলিং সিস্টেমও উন্নত করেছিল[৫] এবং এদেশে নবাগত রোশন কোম্পানির মতো সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল।[৭]

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী