আফগানিস্তান রাজ্য

মধ্য এশিয়ার একটি রাজ্য (১৯২৬-১৯৭৩)

আফগান রাজ্য বা আফগানিস্তান রাজ্য (পশতু: د افغانستان واکمنان, দ্য আফগানিস্তান ওয়াকমানান; ফার্সি: پادشاهي افغانستان, পাদেশাহি-এ-আফগানিস্তান) ছিল ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত একটি সাংবিধানিক রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র আফগানিস্তান আমিরাতের উত্তরসুরি। ক্ষমতারোহণের সাত বছর পর আমানউল্লাহ খান এই রাষ্ট্রের প্রথম বাদশাহ হন।

আফগানিস্তান রাজ্য

د افغانستان واکمنان
দ্য আফগানিস্তান ওয়াকমানান
پادشاهي افغانستان,
পাদেশাহি-এ-আফগানিস্তান
১৯২৬–১৯৭৩
আফগানিস্তানের প্রতীক
প্রতীক
জাতীয় সঙ্গীত: রাজকীয় সালাম (১৯২৬-১৯৪৩)
শাহে গাজুর-ও-মেহরাবানে মা (১৯৪৩-১৯৭৩)
বাংলা: "আমাদের সাহসী ও সদাশয় রাজা"
আফগানিস্তানের অবস্থান
রাজধানীকাবুল
প্রচলিত ভাষাপশতু, ফার্সি
ধর্ম
ইসলাম (সুন্নি)
সরকারসাংবিধানিক রাজতন্ত্র
বাদশাহ 
• ১৯২৬–১৯২৯
আমানউল্লাহ খান
• ১৯২৯
ইনায়েতউল্লাহ খান
• ১৯২৯
হাবিবউল্লাহ কালাকানি
• ১৯২৯–১৯৩৩
মুহাম্মদ নাদির শাহ
• ১৯৩৩–১৯৭৩
মুহাম্মদ জহির শাহ
প্রধানমন্ত্রী 
• ১৯২৯–১৯৪৬
মুহাম্মদ হাশিম খান (প্রথম)
• ১৯৭২–১৯৭৩
মুহাম্মদ মুসা শফিক (শেষ)
আইন-সভালয়া জিরগা
ঐতিহাসিক যুগযুদ্ধমধ্যবর্তী যুগ • স্নায়ুযুদ্ধ
• প্রতিষ্ঠা
৯ জুন ১৯২৬
• বিলুপ্ত
১৭ জুলাই ১৯৭৩
আয়তন
১৯৭৩৬,৪৭,৫০০ বর্গকিলোমিটার (২,৫০,০০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
• ১৯৭৩
11966400
মুদ্রাআফগান আফগানি
আইএসও ৩১৬৬ কোডAF
পূর্বসূরী
আফগানিস্তান আমিরাত
বর্তমানে যার অংশ আফগানিস্তান

আমানউল্লাহ খান দেশের আধুনিকীকরণ করতে চেয়েছিলেন। এর ফলে দেশে কয়েকবার অসন্তোষ দেখা দেয়। বিদ্রোহ সৃষ্টির পর ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি তার ভাই ইনায়েতউল্লাহ খানের হাতে ক্ষমতা দিয়ে পদত্যাগ করেন। ইনায়েতউল্লাহ খান মাত্র তিনদিন ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর বিদ্রোহের নেতা হাবিবউল্লাহ কালাকানি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

দশ মাস পরে আমানউল্লাহ খানের যুদ্ধমন্ত্রী মুহাম্মদ নাদির ভারত থেকে নির্বাসন ত্যাগ করে আফগানিস্তান ফিরে আসেন। তার ব্রিটিশ সমর্থিত বাহিনী কাবুল দখল করে নেয়। এরপর হাবিবউল্লাহ কালাকানিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।মুহাম্মদ নাদির এরপর শাসনভার লাভ করেন। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে তাকে বাদশাহ ঘোষণা করা হয়। তিনি আমানউল্লাহ খানের অনেক সংস্কার বন্ধ করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ জহির শাহ আফগানিস্তানের বাদশাহ হন।মুহাম্মদ জহির শাহ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তার চাচাত ভাই মুহাম্মদ দাউদ খান কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন। দাউদ খান রাজতন্ত্রের বদলে প্রজাতন্ত্র স্থাপন করেছিলেন। জহির শাহর সময় আফগানিস্তানের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। এদের মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যযুক্তরাষ্ট্র[১]

১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর জহির শাহর শাসনামলে আফগানিস্তান লীগ অফ নেশনসে যোগ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আফগানিস্তান নিরপেক্ষ ছিল। মুহাম্মদ দাউদ খান তার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে শিল্পায়ন ও শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।[২]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী