আনিস বাজমি
সরঞ্জাম
সাধারণ
মুদ্রণ/রপ্তানি
অন্যান্য প্রকল্পে
আনিস বাজমি | |
---|---|
![]() রেডি চলচ্চিত্রের মুক্তিতে স্টুডিওতে বাজমি | |
জন্ম | (1962-11-01) ১ নভেম্বর ১৯৬২ (বয়স ৬১) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৮৮–বর্তমান |
ওয়েবসাইট | aneesbazmee |
আনিস বাজমি (জন্ম: ১ নভেম্বর ১৯৬২) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য সুপরিচিত। সাড়ে তিন দশকের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন ধারার ষাটের অধিক হিন্দি, তামিল ও মারাঠি চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনা করেছেন।
১৯৯৫ সালে হালচাল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের পর বাজমি ১৯৯৮ সালে প্যায়ার তো হোনা হি থা চলচ্চিত্র দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন করেন। তিনি পরবর্তী কালে কয়েকটি ব্যবসাসফল হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র, যেমন - নো এন্ট্রি (২০০৫), ওয়েলকাম (২০০৭), সিং ইজ কিং (২০০৮), রেডি (২০১১) ও ওয়েলকাম ব্যাক (২০১৫) পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি প্রণয়ধর্মী থ্রিলার দিওয়াঙ্গি (২০০২) চলচ্চিত্র পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেন।
বাজমি ১৯৬২ সালের ১লা নভেম্বর ভারতের গুজরাতের মোদাসা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উর্দু কবি আবদুল হামিদ 'নেরাং' বাজমি এবং মাতা খাতুন বেগম। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি তার পিতার একটি গুজরাতি কবিতা উর্দু ভাষায় লিখেন। তিনি ১৯৭৬ সালে মুম্বই আসেন এবং শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তিনি রাজ কাপুরের প্রেম রোগ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক ছিলেন এবং তার নিকট থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন দিক রপ্ত করেন। মূলত তার উর্দু কবিতা ও শায়েরির জ্ঞান কাজে লাগে এবং তিনি রাজ কাপুরের দৃষ্টিগোচর হন।[১] তিনি পরে শিল্প নির্দেশনা, চলচ্চিত্র সম্পাদনা ও শব্দগ্রহণসহ একাধিক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন।
বাজমি অজয় দেবগনকে নিয়ে থ্রিলারধর্মী হালচাল চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন। তার পরের চলচ্চিত্র অজয়-কাজল জুটির প্যায়ার তো হোনা হি থা ব্যবসাসফল হয়।[২] তাছাড়া চলচ্চিত্রটি চারটি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং একটি বিভাগে পুরস্কৃত হয়। তার পরবর্তী চলচ্চিত্রসমূহ - নো এন্ট্রি (২০০৫), ওয়েলকাম (২০০৭), সিং ইজ কিং (২০০৮), রেডি (২০১১) ও ওয়েলকাম ব্যাক বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হলেও অখ্যাত "নির্বোধ বিনোদন" তকমা লাভ করে।[১] এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র লিখতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আমি ষাটের অধিক নাট্যধর্মী, প্রণয়ধর্মী ও থ্রিলার চলচ্চিত্রে লিখেছি এবং ১৫টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছি, কিন্তু এখনো কেউ যদি আমাকে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের কাহিনি লিখতে বলে তাহলে আমার হাত পা কাঁপতে শুরু করে। আর আমার কাছে মনে হয় এই যে নির্বোধ বিষয়গুলো দেখানো হয় এর পিছনে অনেক বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হয়।"[১]
২০১৯ সালে তিনি একাধিক তারকা অভিনয়শিল্পী-সমৃদ্ধ স্ল্যাপস্টিক হাস্যরসাত্মক পাগলপন্তি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এতে অভিনয় করেন অনিল কাপুর, জন আব্রাহাম, ইলিয়ানা ডি'ক্রুজ, আরশাদ ওয়ার্সী, কৃতি খরবন্দা, উর্বশী রাউটেলা ও পুলকিত সম্রাট। তার পূর্ববর্তী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের মত এই চলচ্চিত্রেও তিনি তার ট্রেডমার্ক স্ল্যাপস্টিক ধারা নিয়ে আসেন।[৩]