আটমল্লিক রাজ্য

আটমল্লিক রাজ্য ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি দেশীয় রাজ্য৷ এই রাজ্যটি ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা জায়গীর থেকে পূর্ণ দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়৷ [১] রাজ্যটির রাজধানী ছিলো কাঁইতারাগড় (বা কাঁইত্রাগড় বা কাঁইতিরা),[২] যা বর্তমানে আটমল্লিক শহরকে নির্দেশ করে৷ [৩]

আটমল্লিক রাজ্য
ଆଠମଲ୍ଲିକ
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য
১৮৭৪–১৯৪৮

ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত আটমল্লিক রাজ্যের মানচিত্র
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠিত
১৮৭৪
১৯৪৮
উত্তরসূরী
ভারত
আটমল্লিক রাজ্যের রাজা কিশোরচন্দ্র দেও প্রতিষ্ঠিত দেউলঝাড়ি শিব মন্দিরের দৃশ্য

রাজ্যটির শেষ শাসক ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে এটিকে ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করায় স্বাক্ষর করেন৷ ভারতে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে রাজ্যটির প্রতীক ছিলো কদম ফুল৷[৩]

ইতিহাস

আটমল্লিক রাজ্যের প্রাচীন ইতিহাস ও রাজ্যের পত্তন অস্পষ্ট তবে রাজ্যের অধিকাংশ অঞ্চলই ছিলো পর্বতসঙ্কুল এবং ঘন জঙ্গলে আচ্ছাদিত অনাবাদী জমি৷ [২] খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে কদম্ব রাজবংশের বংশধর রাজা প্রতাপ দেও এই অঞ্চলে একটি জায়গীর পত্তন ঘটান। জনশ্রুতি রয়েছে প্রতাপ দেও জঙ্গল আবৃত পর্বত সংকুল এই অঞ্চলে এসে হোণ্ডা ধাতুর একটি নল খুঁজে পান তিনি এটিকে দৈব জ্ঞান করে এই অঞ্চলের নাম রাখেন "হোণ্ডপা"। পরবর্তী সময়ে কোন একজন শাসক রাজ্যটিকে আটটি ভাগে ভাগ করেন এবং প্রতিটি ভাগে অবস্থিত জনজাতিদের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের বিদ্রোহ দমনে একজন করে মল্ল নিযুক্ত করেন। এরপর থেকেই এই রাজ্য "হোণ্ডপা" থেকে "আটমল্লিক" নামে অধিক পরিচিত হওয়া শুরু করে৷[৪]

ভারতের ব্রিটিশ শাসনের সময়কালীন ওড়িশার ২৬ টি অধিরাজ এর মধ্যে আটমল্লিক একটি। [৫] ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের নথিপত্রে এই রাজ্যটিকে বৌধ রাজ্যের সামন্ত রাজ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজির জমিদারি তথা স্থানীয়ভাবে সামন্ত পদ অবলুপ্ত করে এর শাসককে "রাজা" উপাধি দেওয়া হয়৷ এবং ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটিকে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের অধিকার দেওয়া হয়।[৩] ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেওয়ের সম্মতিতে ওড়িশার ঢেঙ্কানালে ভারতীয় অধিরাজ্যে অন্তর্ভুক্তির জন্য একীভূতকরণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়। ৩১ মার্চ ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ অবধি এটি ওড়িশার ঢেঙ্কানাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল, পরে ওই জেলা থেকে অনুগুল জেলা পৃথক হলে আটমল্লিক নতুন জেলার একটি মহকুমায় পরিণত হয়।

শাসকবর্গ

আটমল্লিক দেশীয় রাজ্যের রাজারা হলেন:[৬]

  • ১৮৭৪ – ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭ যোগেন্দ্র সামন্ত
  • ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭ – ১৯০২ মহেন্দ্র দেও সামন্ত (নিজ ব্যবহারের জন্য ১৮৯০ থেকে মহারাজা উপাধি গ্রহণ)
  • ১৯০২ – ৩ নভেম্বর ১৯১৮ বিভেন্দ্র দেও সামন্ত
  • ৩ নভেম্বর ১৯১৮ – ১৫ আগসট ১৯৪৭ কিশোরচন্দ্র দেও সামন্ত
  • ৩ নভেম্বর ১৯১৮ – ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৫ এল.ই.বি. কবডেন-রামসে - রাজপ্রতিনিধি

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: প্রধান পাতা২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপতুফান (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিশেষ:অনুসন্ধানঈদুল আযহাঈদের নামাজকুরবানীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঈদ মোবারকক্লিওপেট্রাকোকা-কোলারাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশমিয়া খলিফাআসসালামু আলাইকুমআবহাওয়া২০২৪ কোপা আমেরিকাদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনউয়েফা ইউরো ২০২৪ওয়ালাইকুমুস-সালামসন্দীপ লামিছানেতানজিম হাসান সাকিববাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকানির্জলা একাদশীকাজী নজরুল ইসলামচন্দ্রবোড়াশাকিব খানঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরস্বামী বিবেকানন্দভারতমহাত্মা গান্ধীঐশ্বর্যা রাইবাংলা ভাষাআইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহমুহাম্মাদএকাদশী