অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (জন্ম ৭ নভেম্বর, ১৯৮৭) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত ১৬তম লোকসভার সদস্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখা সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি ছিলেন। ২০২১ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। [১]
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
![]() অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় | |
সাংসদ, লোকসভা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৬ই মে, ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | সোমেন মিত্র |
সংসদীয় এলাকা | ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ৩২০,৫৯৪ (২০১৯) |
সাধারণ সম্পাদক, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস | |
কাজের মেয়াদ ৫ই জুন, ২০২১ | |
পূর্বসূরী | সুব্রত বক্সী |
সভাপতি, সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেস | |
কাজের মেয়াদ ৫ই জুন, ২০১৫ – ৫ই জুন, ২০২১ | |
পূর্বসূরী | শুভেন্দু অধিকারী |
উত্তরসূরী | সায়নী ঘোষ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত | ৭ নভেম্বর ১৯৮৭
দাম্পত্য সঙ্গী | রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (née নারুলা) |
আত্মীয়স্বজন | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পিসি) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | নব নালন্দা হাইস্কুল; এম পি বিড়লা ফাউন্ডেশন হাই স্কুল; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, নতুন দিল্লি (বিবিএ ও এমবিএ) |
জীবিকা | রাজনীতি, ব্যবসায়ী |
ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুস্পূত্র। তিনি এম. পি. বিড়লা ফাউন্ডেশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেন। নতুন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে বিবিএ পাস করার পর তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকেই এমবিএ করেন।[২]
তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় থাইল্যান্ডে জন্মেছেন। সে দেশেরই নাগরিক। তবে তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনমানস কার্ড (পিআইও কার্ড) রয়েছে।
রাজনৈতিক কর্মজীবন
২০১২ সালের জুলাই মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি রূপে তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন। [৩] ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র(যা মূলত দক্ষিণ হুগলীর পূর্ব তট অঞ্চল নিয়ে গঠিত) থেকে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র ড. আবুল হাসনতকে পরাজিত করেন। [৪] তাকে ‘১৬ তম লোকসভার শিশু’ বলা হয় কারণ তিনি উক্ত লোকসভার কনিষ্ঠতম সদস্য। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুনরায় তিনি এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি ঘোষিত হন।[১]
২০২১ সালের ৫ই জুন তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।